মহর্ষি ব্যাসদেব মানব সমাজের জন্য যে অষ্টাদশ পুরাণ রচনা করেছিলেন সেগুলি কিকি
শ্রীমদ্ভাগবতে (১২/৭/২৩-২৪) উলেখ্য করা হয়েছে-
ব্রাহ্মং পাদ্মং বৈষ্ণবঞ্চ শৈবং লৈঙ্গং সগারুড়ম্।।
নারদীয়ং ভাগবতমাগ্নেয়ং স্কান্দ সংজ্ঞিতম্।।
ভবিষ্যং ব্রহ্মবৈবর্তং মার্কন্ডেয়ং সবামনম্।
বারাহং মাৎস্যং কৌর্মঞ্চ ব্রহ্মান্ডাখ্যমিতি ত্রিষট।।
অর্থাৎ আঠারটি পুরাণ হল-১) ব্রহ্ম পুরাণ ২) পদ্মপুরাণ ৩) বিষ্ণুপুরাণ ৪) শিবপুরাণ ৫) লিঙ্গপুরাণ ৬) গরুড়পুরাণ ৭) নারদীয়পুরাণ ৮) ভাগবত পুরাণ ৯) অগ্নিপুরাণ ১০) স্কন্দপুরাণ ১১) ভবিষ্যপুরাণ ১২) ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ ১৩) মার্কন্ডেয়পুরাণ ১৪) বামনপুরাণ ১৫) বরাহ পুরাণ ১৬) মৎস্য পুরাণ ১৭) কূর্মপুরাণ ১৮) ব্রহ্মান্ডপুরাণ ।
মহর্ষি ব্যাসদেব মানব সমাজের সাত্ত্বিক, রাজসিক ও তামসিক শ্রেণীর মানুষদের উদ্দেশ্যে এই সকল পুরাণ লিখেছেন। সেই পুরাণ সমূহকেও ছয় ছয়টি করে তিন শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। সাত্ত্বিক পুরাণে ভগবান শ্যীহরির মহিমাই অধিক তামসিক পুরাণে অগ্নি, শিব ও দূর্গার মহিমা অধিক রূপে কীর্তিত হয়েছে।
ব্রহ্মবৈবর্ততে উল্লেখ করা হয়েছে-
বৈষ্ণবং নারদীয়ঞ্চ তথা ভাগবতং শুভম্।
গারুড়ঞ্চ তথা পাদ্মং বারাহং শুভদর্শনে।।
সাত্ত্বিকানি পুরাণানি বিজ্ঞেয়ানি মনীষিভিঃ ।।
মনীষিগন বিবেচিত ছয়টি সাত্ত্বিক পুরাণ হল- ১) বিষ্ণু পুরাণ ২) নারদীয়পুরাণ ৩) মঙ্গলময় ভাগবতপুরাণ ৪) গরুড় পুরাণ ৫) পদ্মপুরাণ এবং ৬) বরাহ পুরাণ।
ব্রহ্মন্ডং ব্রহ্মবৈবর্তং মার্কন্ডেয়ং তথৈব চ।
ভবিষ্যং বামনং ব্রাহ্মং রাজসানি নিবোদত।।
ছয়টি রাজসিক পুরাণ হল- ১) ব্রহ্মান্ড পুরাণ ২)র ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ ৩) মার্কন্ডেয়পুরাণ ৪) ভবিষ্যপুরাণ ৫) বামনপুরাণ এবং ৬) ব্রহ্মপুরাণ ।
মাৎস্যং কৌর্মং তথা লৈঙ্গং শৈবং স্কান্দং তথৈব চ।
আগ্নেয়ঞ্চ ষড়েতানি তামসানি নিবোধত।
ছয়টি তামসিক পুরাণ হল- ১) মৎস্য পুরাণ ২) কূর্মপুরাণ ৩) লিঙ্গপুরাণ ৪) শিবপুরাণ ৫) স্কন্দপুরাণ এবং ৬) অগ্নি পুরাণ।
আরো পড়ুন.....
৩.ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কেন মাথায় ময়ূরপালক/পুচ্ছ পরিধান করতেন??
৪.ভূমন্ডলে তুলসীর আবির্ভাব কীভাবে হলো?
৬. দ্রোপদীকে দেয়া ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শ্রেষ্ঠ কিছু বানী
৭. মহাভারতের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী ও শ্রীকৃষ্ণের উপদেশ
0 Comments