°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°

১)যা ঘটছে তা অবশ্যম্ভাবী এবং অনিবার্য।
আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে যে, যাই ঘটছে তা মানুষের মঙ্গলের জন্যই ঘটছে। এর মধ্যে হস্তক্ষেপ করার বা একে থামানোর কোন অধিকার আপনার নেই।

২)ভগবৎ গীতা আপনাকে শুধু ফলের চিন্তা না করে কর্ম করে যাওয়ার অনুমতি দেয়। কর্মফলের ওপর আপনার কোন দাবী নেই।

৫)লোভ, লালসা এবং ক্রোধ বিষ-তুল্য, এগুলি
মানুষের প্রকৃতি ও চরিত্রকে নষ্ট করে। একটি শান্তিপূর্ণ জীবন যার পথ আপনাকে মহিমান্বিত করতে পারে তার জন্যে গীতা আপনাকে এই তিনটি অশুভ রিপু দ্বারা ভুগতে দেয় না।

৬)আপনি সন্দেহ ত্যাগ না করলে, মানসিক শান্তি পাওয়ার কথা আশা করতেই পারবেন না।

৭)প্রতিটি ব্যক্তি নিজের ভেতর থেকেই অনুপ্রেরণা নিয়ে থাকে, কারণ সে নিজেই নিজের পরম বন্ধু বা শত্রু। সে নিজেই নিজের চিন্তা ও ধারণা থেকে বহুল পরিমাণে প্রভাবিত হয়ে থাকে ও সেই অনুযায়ী কর্ম করে থাকে।

৮)আপনার কর্ম ঈশ্বর দ্বারা যথোপযুক্ত বিচার
করা হবে। মৃত্যুর পর আপনার কর্মের জন্য আপনাকে দণ্ড বা পুরস্কার পেতে হবে। বিচার কেবলমাত্র মৃত্যুর পরই সম্পন্ন হবে এবং এটিই মৃত ব্যক্তির শেষ পরিণতি নির্ধারণ করবে।

১৪)জগত-সংসার ভগবান শ্রীকৃষ্ণেরই সৃষ্টি এবং সবই তাঁর ইচ্ছাশক্তিতে ঘটছে। একজন মানুষ হিসাবে, এর বাইরে কিছু নিয়ে চিন্তা করার অধিকার আপনার নেই।

১৫)ধন-সম্পদ ও কামনার দাস বা হাতের পুতুল হয়ে পড়লে, তা আপনার প্রকৃতি ও চরিত্রে একটা নিশ্চিত অধঃপতন নিয়ে আসতে পারে। প্রকৃতপক্ষে এর ফল, চরম ব্যর্থতা হতে পারে। হরেকৃষ্ণ। জয় শ্রীকৃষ্ণ।
0 Comments