নারীদের মাসিক রজচক্র একটি অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং ফিজিওলজিক্যাল বিষয়।।
এ সময় মা এবং বোনেরা মাঝে মাঝে ধর্মীয় রীতি নীতি পালনে দ্বিধান্বিত হয়ে থাকে।।
আসুন, জেনে নিই বৈষ্ণব আচার মতে এ সময় কি কি করা যাবে এবং কি কি করা যাবে না।।
# কি_কি_করা_যাবে...... 

(1) জপমালা নিয়ে হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করা যাবে।। তবে অবশ্যই শুচী বস্ত্র পরিধান করতে হবে।। এসময় ঠাকুর ঘরে জপ না করে বাইরে বসে জপ করতে হবে।।
(2) পবিত্র গীতা সহ সকল ধর্মীয় গ্রন্থ পড়া যাবে।।
(3) শুচিতা পালন করে ভগবানের প্রসাদ রন্ধন করা যাবে।।
(4) প্রচারে অংশ নেওয়া যাবে এবং নগর সংকীর্তনেও অংশ গ্রহণ করা যাবে।।
(5) একাদশী করা যাবে।।
.
# কি_কি_করা_যাবে_না.... 

.
(1) বিগ্রহ এবং বিগ্রহের সিংহাসন স্পর্শ করা যাবে না।
(2) বিগ্রহের প্রসাদ রন্ধন করা গেলেও তা অন্যের হাত দিয়ে বিগ্রহকে অর্পন করতে হবে।। যদি বাড়িতে কেউ না থাকে তাহলে সেই প্রসাদ বিগ্রহকে না দিয়ে ভগবানের চিত্রপটে দেওয়া যাবে।।
(3) এ সময় তুলসী চয়ণ করা যাবে না।।
(4) ভগবানের আরতির জিনিস পত্র স্পর্শ করা যাবে না।।
(5) মন্দিরে যাওয়া যাবে কিন্তু মঠ মন্দিরে ওঠা যাবে না।।
(6) এ সময় ব্রহ্মচারীদের প্রসাদ পরিবেশন না করাই ভালো।।
পরিশেষে বলব, অনেকে হয়তো বলবেন, মেয়েদের এই রজচক্রের সময় পূজার সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ।। কিন্তু, ভগবান দয়াময়।। তিনি সকলের প্রতি সমভাবাপন্ন।। তাই কেন একজন ভক্ত মা বা বোন মাসের এই কয়টা দিন তাঁর পবিত্র নাম জপ থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন?? গুরু পরাম্পরার অন্যতম গুরু শ্রী ভক্তিবিনোদ ঠাকুর বলেছেন,
''গৃহে থাকো বনে থাকো সদা হরি বলে ডাকো''
অর্থাৎ কৃষ্ণ নাম সবার জন্য সব জায়গায় সব সময়ের জন্য।। এজন্যই এখন কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলনের মাতাজিরা খুব সহজ ভাবেই মালাজপ ও গীতা পড়ে এই সময়গুলো পার করেন।। এখন তাই সবকিছু খুবই শিথিলযোগ্য।।
অনেক মাতাজি এবং দিদি যারা নতুন নতুন মালা জপ শুরু করেছেন তারা প্রায়ই এই প্রশ্নগুলো করে থাকেন।। অনেক সময় তারা confusion এর মধ্যে থাকেন।। আশা করি এরপর থেকে আমাদের মা বোনদের আর অসুবিধা হবে না।।


0 Comments