দ্বাদশ পদাবলী বা আদিবীজমন্ত্র
(সনাতন সন্দেশ)
আমরা যারা সনাতন বা বৈদিক ধর্মাবলম্বী, তাদের কাছে শ্রীমদ্ভগবদ গীতা একখানি পবিত্র গ্রন্থ। এ শুধু গ্রন্থ বললে ভুল হবে, গীতা মানব জীবনের দিকনির্দেশনা প্রদান সহ সকল শাস্ত্রের আধার। এই পূণ্য গ্রন্থ পাঠের পুর্বে আমরা একটি শ্লোক পাঠ করে থাকি। "ওঁ নমো ভগবতে বাসুদেবায়!!" এটি শুধু শ্লোক নয়। গুরু কর্তৃক শিষ্যের কানে দেয়া বীজমন্ত্র ও বটে। এই আদি বীজমন্ত্র বহু মুনি ঋষি নিরন্তর জপ করে সিদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছেন।
. এই শ্লোকে আছে বারটি বর্ণ। যা হলো ওঁ ন, মো, ভ, গ, ব, তে, বা, সু, দে, বা, য়। এই বারটি বর্ণ নিয়ে রচিত হয়েছে বারটি পদাবলী।
যা সবার জানার জন্য পোস্ট করলাম। আশাকরি সবার ভাল লাগবে।
ওঁ-
বীজেতে ব্রহ্মা বিষ্ণু শিবকে বোঝায়,
রাগদ্বেষাদি যার কৃপায় জয় করা যায়!
রোগে শোকে কাল নিদ্রায় মোরা হই মগন,
দয়াকরে রক্ষা করো হে মধুসূদন!!
ন-
নমি তব শ্রীপদেতে নিলাম শ্মরণ,
অনাশ্রয়ে অনাথের রক্ষো হে মধুসূদন!!
মো-
মোহ মায়ায় স্ত্রীসন্তানে সদা নিমগন,
তৃষ্ণা নিবারণ করো হে মধুসূদন!!
ভ-
ভক্তিহীন শোকে তাপে রত অনুক্ষণ,
পাপ হতে রক্ষা করো হে মধুসূদন!!
গ-
গতাগতি বারংবার করো নিবারণ,
জন্মমৃত্যু রহিত করো হে মধুসূদন!!
ব-
বহুগামীর বহু যোনী করেছি ভ্রমণ,
গর্ভদুঃখ হতে রক্ষো হে মধুসূদন!!
তে-
তেমনি ভোগ করতে হয় কর্ম যেমন,
সংসার মায়ায় রক্ষো হে মধুসুদণ!!
.
বা-
বাক্য দিয়েছিলাম তোমা করিব সাধন,
মায়ামোহে তা' ভুলিলাম হে মধুসুদণ!!
.
সু-
সুকর্ম করিনি আমি আমার এ জীবন,
দুঃখার্ণবে রক্ষা করো হে মধুসুদণ!!
.
দে-
দেহান্তর ছিলাম কতো নাই তা স্মরণ,
জন্মমৃত্যু বন্ধ করো হে মধুসুদণ!!
.
বা-
বাসুদেবে যেনো আমি স্মরি চিরন্তন,
জরাব্যাধি মৃত্যু হতে রক্ষো মধুসুদণ!!
.
য়-
যথা যথা জন্ম আমি করি হে ধারণ,
তব পদে অচলাবস্থা ভক্তি দাও মধুসুদণ!!
.
হে পরমকরুনাময়, সচ্চিদানন্দ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, তোমার সৃষ্টির সকল কিছুই তুমি রক্ষা করো প্রভু। অনাথের নাথ তুমি সকল জীবের সৃষ্টি, স্থিতি ও বিনাশের কারণ। তোমার সৃষ্টির সকল জীব সহ তোমার ভক্তদের একমাত্র রক্ষাকর্তা তুমি। তাই সবার জীবন মঙ্গলময় আর কল্যাণময় করো দয়াময়।(দেবেন্দ্র)
!!হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ
কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম
রাম রাম হরে হরে!!
!!জয় শ্রীমধুসুদণ!!জয় রাধে!!
!!জয় হোক সকল ভক্তবৃন্দের!!
0 Comments