প্রঃ- অনাচার কাকে বলে ও কয় প্রকার ?
উঃ- বেদের সদাচার পালন না করাই হল অনাচার। বেদশাস্ত্র তা অনেক ভাগে ভাগ করেছে তা হল যথাক্রমেঃ
১- ব্যবহারগত অনাচার - অনাতিথ্য, অভ্যাগতকে সমাদর না করা, যথা শাস্ত্র দশকর্ম্মাদি না করা, বৈষ্ণবীয় সদাচার না পালন করা।।
২ - মনোগত অনাচার - নিত্যসেব্য প্রভুর ধন্যাদি না করা, নিজ ও পরের হিত চিন্তা না করা বা অন্যের
শুভ কামনা
না করা অথাৎ পুত্র, শিষ্য, ভৃত্যাদির
শুভ কামনা
না করা তথা সম্পদে - বিপদে হরিকে স্মরণ না করা প্রভৃতি।
৩
- বাক্যগত অনাচার - সত্য কথা না বলা, সত্যসাক্ষী না দেওয়া, হিত উপদেশ না
করা, সত্য পথ প্রদর্শন না করা তথা ভগবন গুন লীলাদি কীর্তন না করা প্রভৃতি
৪
- দেহগত অনাচার - নয়নে শ্রীমূর্ত্তি, বৈষ্ণব, ভগবৎ পূজামহোৎসব যাত্রাদি
দর্শন না করা, মস্তক দ্বারা সাধু- গুরু- বৈষ্ণব, ভগবান ও দেবাদিকে প্রনাম
না করা, নাসিক দ্বারা ভগবৎপ্রসাদী ধূপাদির আঘ্রানাদি না গ্রহন করা,কর্ণ
দ্বারা ভগবৎ কথাদি শ্রবন না করা, পদদ্বারা শ্রীমন্দির ভগবদ্ধামাদি পরিক্রমা
না করা, দেহে তীর্থরজঃ ধারণ না করা, বৈষ্ণবচরণ স্পর্শ না করা প্রভৃতি।
৫
- গুরুগত অনাচার - শিষ্যকে সযত্নে যথাশাস্ত্রীয় কর্ত্তব্য উপদেশ না করা,
কেবল মন্ত্রাদি দিয়াই গুরুত্ব প্রতিপন্ন হইতে পারে না, শিষ্যের দোষ সংশোধন
না করা, শিষ্যের ভজন সাধনে পরীক্ষা না লওয়া তথা শাস্ত্রের তাৎপর্য না বলা,
যোগ্যপাত্রে ভজন রহস্য প্রকাশ না করা ইত্যাদি।
৬- শিষ্যগন অনাচার - গুরুতে যথাযথ ভক্তি না করা, তাঁহার উপদেশ মত না চলা, গুরুবাক্যে সমাদর না করা প্রভৃতি।
বিঃদ্র
-গুরুর উপদেশমত না চলা মানে গুরুপ্রদত্ত মন্ত্রের সময় মত জপাদি না করা,
তিলক ধারণ না করা, নিয়মিত আরতি- পূজাদি না করা, বৈষ্ণব সদাচার পালন না করা
ইত্যাদি
বৈষ্ণব পক্ষে - ভগবৎপ্রসাদ চরণামৃতাদির সেবা না করা অনাচার বিশেষ।
কৃষ্ণাধিষ্ঠান জ্ঞানে জীবকে যোগ্য সম্মান না দেওয়া একটি অনাচার।
অতিথি, আত্মীয়, ভিক্ষুক বিচারে জীবে সম্মান এক প্রকার আর বিষ্ণুপ্রিয় বৈষ্ণব জ্ঞানে সম্মান করা বিশেষ ব্যাপার ইহা পরমার্থ ব্যাপার।
আচার
হইতেই ধর্ম্ম প্রসিদ্ধ হয়, আচার অশুভ নাশ করে। অতএব সাধককে সর্ব্বতোভাবেই
অনাচার ত্যাগ করত সদাচারী হইতে হয় হৃদয়। তাতেই কৃষ্ণেরপ্রিয়তা লাভ হয়।
অনর্থময়
আচারকেই অনাচার বলা হয়। তীর্থে পাপাচার নিষিদ্ধ,, তীর্থ স্নান বাসাদির
উদেশ্য পবিত্র হওয়া, পরন্তু তীর্থে স্নানাদির সহিত পাপাচারই অনাচার, গঙ্গায়
মলমূত্রাদি ত্যাগ অনাচার। তীর্থ মোক্ষসাধন ক্ষেত্র। তাহা দাম্পত্য বিলাসের
স্নান নহে। পাপাচারের ক্ষেত্র নহে।তীর্থে কামাচার মহাপাপ।।।
কি বোঝা গেলো তো ???
এখন আপনি স্বয়ং বিচার করুন
জয় শ্রীকৃষ্ণে চৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ
শ্রীঅদৈত্য গদাধর শ্রীবাসাদি গৌরভক্তবৃন্দ।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।
সনাতন ধর্ম সম্পর্কে জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন-
আমাদের সমস্ত দুঃখের কারণ অজ্ঞনতা। সুতরাং জানতে হলে পড়তে হবে।
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা পড়তে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন.......
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার আলোকে মানব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্বজিজ্ঞাসা প্রশ্ন-উত্তরে জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন.......
সনাতন পারমার্থিক জ্ঞান সম্পর্কে জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন.......
0 Comments